Sunday, May 20, 2018

মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী মহোদয়



মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী মহোদয়,

আপনি মাদারীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্বে এবং কালকিনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি। আপনার নিজের অবস্থান, আপনার মান-সন্মান, মর্যাদা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান থেকে আমরা শিখেছি। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের অগ্রভাগে আপনাদের শিখানো শ্লোগানে মূখরিত করেছি আমরা।
আপনাদের প্রেরণা ও উৎসাহে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি আমরা। কেউ আপনার আত্মীয় নয়; কেউ আপনার পর নয়; সবাই আপনার নিকট সমান। আপনি আমাদের নেতা। আপনাকে আমরা মাদারীপুরবাসী আমাদের যোগ্য প্রতিনিধি, যোগ্য নেতা বলে শ্রদ্ধা করি, সন্মান করি; মিছিল করি, উল্লাস করি; আপনার আগমনে কালকিনি তে নব জোয়ার এসেছে।
ভারতে প্রশিক্ষণ দেয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই এবং এ মহান দায়িত্ব আপনার উপর। সে দায়িত্ব কি আপনি সঠিক ভাবে পালন করেছিলেন?
আপনি অন্যায় অবিচার করলে আমরা আর কার নিকট যাবো? সবাইতো আর নেত্রীর সাথে দেখা করতে পারেন না। আজ যারা কালকিনিতে কমান্ডার বলে খ্যাত, এদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা নয়; এমন কি আমার ইউনিয়ন বাঁশগাড়ীর সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আমার চেয়ে তো অন্য কেউ বেশী চিনে না, জানে না; এখানে আসল মুক্তিযোদ্ধারা এমন কি ব্যারাকপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কালীন কমান্ডার হানিফ মাহমুদ (নিউজিল্যান্ড প্রবাসী) এর নামও তালিকায় নেই, যিনি চাঁদপাড়া রিসিপশন ক্যাম্পের সহকারী ইন-চার্জ ছিলেন। হায়দার বেপারী, যিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং ৭১ সালে চাঁদপাড়া ক্যাম্পের ইন-চার্জ মাদারীপুর-কালকিনি-৩ আসনের প্রথম এম পি (এম সি এ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এডঃ মতিউর রহমান (মতিভাই)র সাথে তাঁর বাসায় থাকতেন এবং ক্যাম্প অফিসের কাজ করতেন। তার দরখাস্তও আপনি গ্রহণ করেননি; বড় কষ্ট পেয়েছি; যারা মুক্তিযোদ্ধা নয়; তাদের সাথে আপনি হেসে কথা বললেন-গল্প করলেন, তাদের কাগজপত্র স্বাক্ষর করলেন আর যে আসল মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন; সে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেল; এ দুঃখজনক ঘটনা আপনার দ্বারা সংঘটিত হওয়ায় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলাম এবং লাল বইতে আমার নাম না থাকা সত্বেও আমি কথা বলেছিলাম। ওদের সমর্থন করেছিলাম, আপনার মনে আছে হয়তো।
মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশেষ করে যারা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করেছে এবং এখনো করছে, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা পাবে, তাও আবার আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালীন এবং আপনার মত মাদারীপুর কাঁপানো আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর সামান্য ভুলের কারনে? এটা ঠিক কিনা? আপনি নিজেই অনুধাবন করুন। আমরা আপনার সুবিবেচনা ও সুবিচারের প্রত্যাশায় অধীর আগ্রহে বসে থাকলাম।
তাছাড়া আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নেত্রী সরাসরি না জেনে কিভাবে সমাধান করবেন? এ মহৎ কাজটি আপনাকেই করতে হবে। ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া আমার সহযোদ্ধা অনেকেই আর বেঁচে নেই; তাদের পরিবার বঞ্চিত হল মহান স্বাধীনতার ফসল থেকে। এ কাজ যারা করেছে, তারা তাদের ইচ্ছে মত অর্থ নিয়ে ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় লিখে দিয়েছে। যে সমস্যা মাদারীপুরের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কলুষিত করছে, সে সমস্যা কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধান হবার নয়; যার যার জেলা উপজেলায়ই সমাধানযোগ্য।
আমার মুক্তিযোদ্ধা হবার সখ মিটে গেছে, কিন্তু ঐ হতভাগাদের কি হবে? যারা ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের নাম মূখে আনেনি, তারা ভাতা পাচ্ছে, তাদের সংসার ভালো চলছে, আর যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে গেল, যুদ্ধ করলো তাদের নাম নেই; এ কলঙ্ক এ ব্যর্থতা যে কোনভাবেই হোক আওয়ামী লীগ সরকারের এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উপরই বর্তায়। কারন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করেছিল।
আপনি আমাদের শেষ ভরসা-আপনার রিপোর্ট অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা হবে। মহান আল্লাহ্‌ যেনো আপনার দ্বারা কোন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কলঙ্ক দিয়ে আপনার বাবা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন সহযোগি, আওয়ামী লীগের সংগঠক ও দুর্দিনের কান্ডারী মরহুম এডঃ আচমত আলী খানের সারা জীবনের কষ্ট, সাধনা, সাফল্য কলঙ্কিত না করে সে দোয়া করি; আপনি আরো উপরে যান; আল্লাহ্‌ আপনাকে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিতকরনে সহযোগিতা করুক।
আমিন ! ]
একটা জাতি কতটুকু দুর্ভাগা হলে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সকল আবেদন, নিবেদন ব্যর্থ হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বরাবরে আবেদন করতে হয়, এটা ভাবতে গেলে গা শিউরে ওঠে। ইচ্ছে হয়, রাষ্ট্রের কর্ণধারদের টুঁটি চেপে ধরে রাস্তায় টেনে এনে মিশিয়ে দেই ধুলোর সাথে; কিন্তু, বাস্তবে তা সম্ভব নয়। নষ্ট পূঁজিবাদী একটি রাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে এখন টিটকারি, লাঞ্চনা-গঞ্জনা সইতে হয়, যদিও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, কিছু রায়ও হয়েছে, কিছু রায় কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আদৌ কোথাও সন্মানিত হচ্ছে কি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় একটি মরণোত্তর রাষ্ট্রিয় গার্ড অব অনার পাওয়া ছাড়া, আমার জানা নেই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নয়, অথবা কোন আমলা নয় এমন সাধারন মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়ে আজ পর্যন্ত্য রাষ্ট্রের কোন একটি স্থাপনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধন করানোর মাধ্যমে সন্মান জানানো হয়েছে কি? ব্যক্তি বা সমাজের কিছু লোকের উদ্যোগে কোন মুক্তিযোদ্ধার নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোন লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত হলে সেই প্রতিষ্ঠানটিকে আলাদাভাবে একটু বেশি সুবিধা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মানিত করার কোন অনুরোধ কোন মহল থেকে করা হলেও মি. বিধি-বিধানের অদৃশ্য সূতোর টানে প্রতিষ্ঠানটিই অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে এ নজির বহু আছে, ফরিদপুর অঞ্চলে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কথা এ মূহুর্তে মনে পড়ছে, “মৃগী শহীদ দিয়ানত কলেজ”; যেটির অস্তিত্ব সঙ্কটকালে সে সময়কার কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা হিসেবে কিছুটা সহায়তা করেছিলাম, ছাত্র জীবনের বন্ধু তৎকালীন কলেজ অধ্যক্ষের কাছে সব জেনে।
মাদারীপুর জেলার (সাবেক ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার) কালকিনি উপজেলার (সাবেক কালকিনি থানার) বীর মুক্তিযোদ্ধা মালদ্বীপ প্রবাসী “মোক্তেল হোসেন মুক্তি”র গত কয়েকদিনের কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে রাষ্ট্র কত হীনভাবে অপমান করছে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ওনার কিছু স্ট্যাটাস এতোই হৃদয়বিদারক যে, তা জনসমক্ষে প্রকাশযোগ্য নয়, তরুণরা ক্ষিপ্ত হয়ে এসবের কুশীলব নষ্টদের মান-সন্মানে আঘাত করে বসতে পারে। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের কর্ণধারদের আগে অনেক কিছুই জনাতাম; অধিকাংশই সমাধান না হলেও, কিছু হতো। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, ততই হতাশ হয়ে পড়ছি। এক কুখ্যাত রাজাকার পুত্রের অনুরোধে আমার খুব কাছে থেকে দেখা এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ না দিতে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র উন্মুখ হয়ে লড়েছে, দেখেছি চোখে ঠুলি পরে।
যদিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যারা এ পর্যন্ত্য দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলেই ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু, এসব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আমলেই অনেক কুখ্যাত রাজাকার ও রাজাকার পুত্ররা “মুক্তিযোদ্ধা সনদ” পেয়ে গেছেন অনেক চুপিসারে বিদ্যুৎ গতিতে, রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্ণধারেরা নিজেরাই এদের ফাইল বগলদাবা করে নিয়ে ছুটেছেন এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে, এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে। কিন্তু, “মুক্তিযোদ্ধা সনদ” পেতে বয়োবৃদ্ধ, রোগে শোকে কাতর, অনাহারে-অর্ধাহারে জর্জরিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তার সনদ পেতে ঘুরতে ঘুরতে স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় হয়েছে, ঘাটে ঘাটে (দপ্তরে, দপ্তরে, টেবিলে টেবিলে) তাকে ষ্টেটম্যান্ট দিতে হয়েছে যেমনটি দিতে হয় একজন দাগী আসামীর “জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল” এর সন্মূখীন হয়ে অপরাধ স্বীকার না করার চেষ্টাকালে। আর এসব মুক্তিযোদ্ধাকে এসব দপ্তরে কখনো সন্মানের সাথে একটু বসতে বলা হয়েছে, এমন কখনো শুনিনি। গত কয়েক মাস যাবৎ শুরু হয়েছে আরেক তেলেসমাতি কান্ড-কারখানা “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি”র সন্মূখে আবেদনটি পৌছাতে নাকি টাকা দিতে হয়, হরহামেশাই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলিতে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে তথ্যটি আসছে পত্রিকায় কিছু উপজেলায় নাকি “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি”তে অর্ন্তভূক্ত হয়ে আছেন কুখ্যাত রাজাকারও।
উল্লেখিত ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তির আরো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাসে কিছু হৃদয় বিদারক হাহাকার ও ক্ষোভ ঝরে পড়েছে, যেগুলির সারমর্ম হলো, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রের সাথে ন্যাক্কারজনকভাবে জড়িত পবিত্র সংসদ ভবনে চিৎকার করে খুনী কনফেডারেশন জিয়াকে “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক” দাবী করা সুবিদ আলী ভূইয়ার ইন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রীর কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব লাঞ্চিত করেছেন। এটা জাতির জন্য উদ্বেগজনক, খোন্দকার মোশতাকের উকিল জামাই সুবিদ আলী যখন গোটা জাতির ধিক্কার ও ঘৃণায় লুকিয়ে থাকে, তখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর কক্ষে সে ঢোকে কি করে? নাকি মাননীয় মন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কথা শোনেননি? তিনি কি শোনেননি জঙ্গিদের মদদদাতাদের কথা যারা আজ বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে? মাননীয় মন্ত্রী কি শোনেননি কে, এম ওবায়দুর রহমান, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, শাহ মোয়াজ্জেমদের নাম, বা জানেন না এদের পূর্ব পরিচয়? তিনি তো দুধের শিশু নন। মাননীয় মন্ত্রী নিজে শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা শুধু নন, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন প্রকাশ্য ও গোপন প্রস্তুতির সংগঠকও। পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি যুদ্ধ শুরু করার বেশ আগেই যে তিনি একটি অতি সাহসী বীরত্বসূচক কাজ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে তিনি কি সেটা ভূলে গেছেন?
মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাোম্মেল হক এর দৈনিক ভোরের কাগজ ১৯ মার্চ, ২০১৬ তে প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ ১৯শে মার্চ ১৯৭১” শিরোনামের একটা লেখায় উল্লেখ রয়েছে, ৭ মার্চে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সম্ভবত ১১ মার্চ গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানা (অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি) আক্রমণ করি। গেটে বাধা দিলে আমি হাজার হাজার মানুষের সামনে টেবিলে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেছি মাইকে। পাকিস্তানিদের বুঝতে পারার জন্য ইংরেজিতে বলি ‘I do hereby dismiss Brigadier Karimullah from the directorship of Pakistan Ordnance Factory and do hereby appoint Administrative officer Mr Abudul Qader (বাঙ্গালী) as the director of the ordnance Factory’ এ গর্জনে সত্যি কাজ হয়েছিল। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার বক্তৃতা চলার সময়ই পেছনের গেইট দিয়ে সালনা হয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে আসেন। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার আর পরবর্তী সময় ১৫ এপ্রিলের আগে গাজীপুরে যায়নি। পাকিস্তান সমরাস্ত্র কারখানা ২৭ মার্চ পর্যন্ত আমাদের দখলেই ছিল।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে বিনীতভাবে জিগ্যেস করতে চাই, এমন সাহসী ভূমিকা কি ১১ই মার্চ ১৯৭১ এ কি আপনার একাই ছিলো, নাকি মোক্তেল হোসেন মুক্তিদের মতো সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই ছিলো? কিভাবে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের এজেন্ট খুনী জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবীকারি সুবিদ আলী আপনার উপস্থিতিতে আপনার কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তিকে অপমান করার ঔদ্ধত্য দেখায়? আর সচিব কি প্রজাতন্ত্রের মালিক না কর্মচারি না সেবক? আপনি সচিবের অধীন, নাকি সচিব আপনার অধীন? এসব প্রশ্নগুলি নিজের বিবেককে করুন মাননীয় মন্ত্রী।
দেশবাসীর বিবেক জাগ্রত হোক: আমি দেশবাসী, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণদের বিবেকের উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তেল হোসেন মুক্তির দুটি ফেসবুক স্ট্যাটাস উল্লেখ করতে চাই। সাথে এও বলতে চাই, যদি উনি মুক্তিযোদ্ধা নাই হবেন, তবে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে এ দাবীটি তুলতে পারতেন না। যারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তারা এ সনদ পায় গোপনে টাকার থলি দিয়ে কিনে আর এ সনদ ব্যবহার করে টাকার বস্তা কামায়। তাই, আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য যে, উনি আসলেই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার হাহাকার আমার কাছে আজ পঙ্গু হয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভায় ভাড়া বাসায় যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ১৯৭২ সালে সনদ পেয়েও ১৯৭৪ সালে ছিড়ে ফেলার পর বারবার চেষ্টা করেও নতুন সনদ না পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম এর হাহাকারের মতোই মনে হয়েছে।
মোক্তেল হোসেন মুক্তির ১৭.৫.২০১৭ তারিখ বিকাল ২.৩৮ এর ফেসবুক স্ট্যাটাস: “আমাকে আমার মাওলা ছাড়া আর আমার মা বাবা ছাড়া কেউ বোঝেনি, কেউ না। আমার চেয়ে দলকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধ কে কারা কিভাবে বেশী ভালোবাসতে পারে আমার জানা নেই। আমার অস্তিত্ব না থাকলে আমি কারো অস্তিত্ব নিয়ে ভাববো কেন? এখানে ক্ষমার প্রশ্ন নয়; এখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রশ্ন। যে মেজর সুবিদ আলী ভুঁইয়া বলতে পারে যে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক সে সুবিদ আলীর কথায় মন্ত্রী আমাকে অপমান করতে পারে না। আমার গান হাতে থাকলে ঐ খানেই কিসসা খতম করে দিতাম সুবিদ আলীর। আমি আর মুক্তিযোদ্ধা হতে চাই না। এবার হবো সন্ত্রাসী। মরার আগে যে ক’দিন বাচি, আওয়ামী লীগের সবাই যেনো আমাকে জুতা মারে, থু থু নিক্ষেপ করে এবং শেষ শব্দটি উচ্চারন যে "Moktel Hossain Mukthi was a great rajakar in 1971.” সবাই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে গবেষনা করে। কেউ কেউ নাম ভাঙ্গিয়ে খায়, ব্যবসা করে; বড় বড় লম্বা বক্তৃতায় মাইক ফাটিয়ে দেয়; অথচ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সারা দেশে অবৈধ ব্যবসা চলছে; মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব মারধর করছে, মন্ত্রী অপমান করছে, তার কোন প্রতিবাদ হয় না; কার চরিত্র ভালো? ফেসবুকের চরিত্র আরও জঘন্য; আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগি অনলাইনের সে সোনার ছেলেরা কোথায়? আজ গা' জ্বলে না? আপনার বাবা যদি মুক্তিযোদ্ধা হত, আর মন্ত্রী অপমান করতো আপনি কি করতেন? আমার কোন ছেলে নেই, তাই কেউ আমার পাশে এসে দাড়ালেন না? ভালো থাকুন সবাই।

পাবনার বেড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহেজ উদ্দিন সরকারের ভাগ্যে জাতীয় পতাকা জোটেনি

https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/32827848_1944526805581624_4697400886912090112_n.jpg?_nc_cat=0&oh=a93e9963e8e9d426a4088bac776ffd6a&oe=5B7BDE6B পাবনার বেড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহেজ উদ্দিন সরকার মারা গেছেন গত ১৮ মে রাতে 😞 ১৯ মে তার দাফন সমপন্ন হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকারি উদাসীনতায় স্বেচ্ছাচারিতায় তাঁর শেষযাত্রায় জাতীয় পতাকার সম্মান জোটেনি ! বীর মুক্তিযুদ্ধা তাহেজ উদ্দিন সরকার এর মৃত্যুর পর জাতীয় পতাকার সম্মান জোটেনি, জাতীয় পতাকার বদলে চাটাই মুড়িয়ে গার্ড অব অনার প্রদান !!! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যেই এই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পাবনার বেড়া থানার ওসি ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তা। চাটাই মুড়িয়ে তাকে দেয়া হয়েছে গার্ড অব অনার।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে ক্রোধ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বেড়া থানা, উপজেলা প্রশাসনের কাছে কী একটা জাতীয় পতাকাও ছিলোনা? বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি করছি।
এর আগে ক্ষমাহীন আচরনের জন্য বেড়ার ইউএনও, ওসির স্ট্যান্ড রিলিজ চাই, যাতে অদূর ভবিষ্যতে কেউ আর এই ধরনের ঘটনা বা এদেশের একজন মুক্তিযুদ্ধা কে অপমান, বা তার শেষযাত্রায় অসম্মান করার সাহস মানুষিক শক্তিই যেনো না পায়. 
আ ক ম মোজাম্মেল হকের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। আহাদ চৌধূরীর বাংলা ছাড়া উচিত কারন মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এ রংগ লীলা খেলতে দেয়া যায় না। বাঙ্গালী কবে জেগে উঠবে? আর কত আমরা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে এভাবে কষ্ট দেবো? আর কত লাঞ্ছিত হবে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের বিদেহী আত্মা ও মরদেহ? জীবদ্ধশায় তো কিছু পেলোইনা, মৃত্যুর পরে জাতীয় পতাকাও ভাগ্যে জুটলোনা। এ কোন স্বাধীনতা হে বাঙ্গালী?
মোজাম্মেল হক সাহেব লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন।

Monday, April 9, 2018

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মহোদয়,

যথাযোগ্য মর্যাদা ও সন্মান পুরঃসর বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর ব্যক্তিগত সচিব থাকাকালীণ ২০০২ সালে জামাত বি এন পি জোট সরকারের অবৈধ আস্তানা "হাওয়া ভবনের" ভূয়া মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই এবং মালদ্বীপে এসে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শূরু করি।

আমার চির স্বভাবজনিত দুর্বিনীত প্রতিবাদী মানসিকতার কথা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের বহু নেতা/মন্ত্রীগণ অবহিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর গানের মুক্তি নামেই সর্বজনবিদিত।

আওয়ামী রক্ত তাই প্রবাসে এসেও নীরব থাকতে পারিনি; যে দেশে প্রবাসীদের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সে দেশে আমি মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।

মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ( সাবেক হাই কমিশন) এর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হিসেবে বহু লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।

Image may contain: 1 person

এমন কি এতদবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ডঃ দীপুমনিও অবহিত আছেন।

মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের অনেক অনুষ্ঠানেই বহু মন্ত্রী ও মান্যবর সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল সাহেবও যোগদান করেছিলেন । ভিডিও ও ছবি প্রমানবহন করে (ছবি সংযুক্ত )



মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০১৪ সালে ইস্কান্দার স্কুলে জাতীয় শোক দিবস পালনের আয়োজন করেছিলাম । সে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি হেড অফ দি চ্যাঞ্চেরী হারুন অর রশিদ।

আমি মালদ্বীপের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ডঃ ইয়ামীন মাওমুনের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর সামনেই ছিলাম।

হঠাত একটি ফোন এলোঃ

*******************

ঃহ্যালো আমি হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী হারুন অর রশিদ বলছি;

ঃকে মুক্তি সাহেব বলছেন?

ঃজ্বি

ঃশুনেছি আপনি ১৫ই আগষ্ট পালন করছেন আপনার ইস্কান্দার স্কুলে?

ঃজ্বি আমার সব অনুষ্ঠান তো ইস্কান্দার স্কুলেই হয়ে থাকে।

ঃআপনি এ অনুষ্ঠান করতে পারবেন না; ঐ দিন হাই কমিশন থেকে অনুষ্ঠান করা হবে সূতরাং আপনার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে;

ঃআমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না; আমি প্রেসিডেন্টের সামনে কাজেই পড়ে কথা বলছি;

ঃআপনি বুঝতে পারছেন তো যে হাই কমিশন আপনাকে কল করেছে?

******************

মালদ্বীপের রাজধানী মালে ইস্কান্দার স্কুলে আমি মুক্তি যে হলটিতে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যান ও জনশক্তিমন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেরকে সংবর্ধনা দিয়েছি, সে হলেই আয়োজন করেছিলাম জাতীয় শোক দিবস ২০১৪।

সে অনুষ্ঠানের অপরাধেই আমার মালদ্বীপের সোনালী দিনগুলো ১৫ই আগস্টের চেয়েও ভয়াবহ করে তুলেছিল এই হারুন অর রশিদ, হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী এবং সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল।

********

মালদ্বীপে আমার হাতে গড়া আওয়ামী লীগের ছেলেদের ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দেয়া হল। তারপরেও হারুন অর রশিদ সাহেবের খায়েশ মিটেনি। সে মালে অবস্থানরত তার পোষা দালাল আদম ব্যবসায়ী, গাঞ্জা ব্যবসায়ী, ডলার ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ নিয়ে চলে এবং সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট করে বেড়ায়। এখানে অতিরঞ্জিত কিছুই লিখছি না। প্রমান সহই দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেছি আমি তদন্ত চাই। অতি সম্প্রতি সে ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। আমাকে টেলিফোনে মারধর করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।মালদ্বীপ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়ে গেল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে একজন ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ সরকারের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিক্ষক (আমি নিজে ), একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মালদ্বীপে কর্মরত ৩৩ বছরের সিনিয়র ফিজিক্সের শিক্ষক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মীর সাইফুল ইসলাম এবং আর একজন ২৫ বছর যাবত মালদ্বীপে শিক্ষকতায়রত গজল সঙ্গীত শিল্পী মালদ্বীপের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম।




এই তিন জন শিক্ষকের কাউকেই মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপস্থ দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেন নি। বিষয়টি মালদ্বীপের মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্ট হাউসের কর্মকর্তাদেরও নজরে এসেছে। এ দেশে বাংলাদেশী এই তিনজন শিক্ষকই অত্যন্ত দক্ষতার কারনে এবং বিশেষ করে শফিক ও আমি গানের কারনে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কোন মন্ত্রী, ধনিক ব্যবসায়ী, বর্ণাঢ্য বণিক শিল্পী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কেউ নেই যে আমাদের এই তিনজনকে না চিনেন বা না জানেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রণ না করার হেতু একটাই হতে পারে যে দেশ আজো স্বাধীন হয়নি অথবা এই দূতাবাস পাকিস্তানের অথবা এই দূতাবাসে মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই।
মহান স্বাধীনতা দিবসে কেন আমাদের দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেনি? আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভাগীয় মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে আপনাকে অবহিত করলাম।

আমরা জাতীয় সম্পদ। আমাদেরকে জাতীয়ভাবেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। কারন জানতে চাই।
মহানুভব, পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত আপনার সমগ্র জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা আজ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রশাসনিক জটিলতা সমস্যাদি সমাধান ও বিদেশের সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপনে আপনার সততা শ্রম ও সফলতার সূত্র ধরেই আজ সুবিচারের প্রত্যাশায় আপনাকে অবহিত করলাম। যদি বাংলাদেশ সরকার মনে করে আমি বাঙ্গালী নই, বাংলাদেশী নই-আমার পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার জব্ধ করতে পারে, আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্ত এ অপমানের বোঝা নিয়ে বাঙ্গালী হিসেবে আর মালদ্বীপে পরিচয় দিতে চাইনা। প্রয়োজনে পাসপোর্ট পুড়িয়ে শরণার্থী হয়ে যাবো যেমনটি হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নিয়ে।

ভালো থাকুক দেশের মানুষ ভালো থাকুক শেখ মুজিবের নিরস্পেষিত নির্যাতিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত চির দুখি চির সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতি।

আল্লাহ আপনার ভালো করুন;

দেশ আরো এগিয়ে যাক, আরো উন্নয়ন ঘটূক, উত্তরোত্তর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ খ্যাত স্বীকৃতিকে ডিঙ্গিয়ে উন্নত দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হোক;

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

আপনার একান্ত ভক্ত অনুরাগী

মোকতেল হোসেন মুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কন্ঠশিল্পী

সিনিয়র সঙ্গীত শিক্ষক

ইস্কান্দার স্কুল মালে, মালদ্বীপ

Wednesday, April 4, 2018

কিছু কথা কিছু ব্যথা যায়না বলা যথা তথা:মোকতেল হোসেন মুক্তি

কিছু কথা কিছু ব্যথা যায়না বলা যথা তথা
মোকতেল হোসেন মুক্তি

কৈশরের অনেক স্রিতিই অতলে হারিয়ে যায়। বুকের গহনে হাতিয়ে সব খুজে পাওয়া যায়না। তবু যে টুকু স্বরন করতে পারবো সেটুকুই লিখতে চেষ্টা করবো।
৬৭ ৬৮ সালে বংগবন্ধু আওয়ামীলীগ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অসহযোগ আন্দোলন ছাত্রলীগের জ্বালাও পোড়াও ধনিতে উত্তাল নিষ্পেষিত পুর্ব পাকিস্তান। রাজনীতিগত কোন ধারনা নেই। তবু বন্ধুদের সাথে শ্লোগান মিছিলে সামিল হয়ে বাড়ীতে গিয়ে ভাই ও বাবার পিটানি খেতাম। মা গোপনে ভাত খাওয়াতেন আর নিষেধ করতেন " বাবা তুই সংসারের ছোট ছেলে সবার আদরের। তুই লেখা পড়া করবি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবি যা এই বংশের মধ্যে কেউ হতে পারেনি।
বাস! দুই তিন দিন লেখা পড়া বন্ধ!
রাতে শুনতে পেলাম বাড়ীর সামনের পুকুর পার দিয়ে মিছিল যাচ্ছে " তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব বাস দৌড়। সে মিছিলের সাথে শ্লোগান দিতে দিতে চলে গেলাম মাদারিপুর কাপানো ৬৯ এর গন অভ্যন্থানের আপোষহীন ছাত্রনেতা আজকের মুজিব বাহিনীর হাবিবুর রহমান আজাদের গ্রাম স্নানঘাটা। যেখানে কেউ আমাকে চিনেনা এবং আমিও কাউকে চিনিনা। একটা বাংলা ঘরে মাটিতে শুয়ে থাকলাম না খেয়ে।। ভোরে বাড়ীর পথ খুজে হাটতে হাটতে বাড়ী এলাম ৮/ ৯ টার দিকে। সকালের পান্তা ভাতের সাথে গালি তো খেতেই হল ভাগ্য ভালো যে বাবা বাড়ীতে ছিলেন না। তাহলে গালে ও পিঠে বোনাস হিসেবে আরো কিছু খেতে হত। শরীয়তপুরের ক্রিতি সন্তান জননেতা আব্দুর রাজ্জাক আলী আহমেদ স্যার আবিদুর রেজা খান আসবেন গোসাইর হাটের নাগেরপাড়া হাটে জনসভায় বক্ত্রিতা দেবার জন্য। আমি হাজির এবং মঞ্চের সামনে গিয়েই দাঁড়িয়ে স্থানীয় নেতা ভাতিজি জামাই মিলু বক্ত্রিতা দিলেন। আমি জানিনা যে সে আমাদের আত্মীয় হয়। মিলু মঞ্চ থেকে নামার পরেই বললাম ভাই আমি একটা গান গাবো। সে শুনলো কি শুনলো না বুঝলাম না। পাশের একজন বল্ল কি গান গাবেন? শেখ মুজিবকে নিয়ে। সে লোক গিয়ে কাকে যেনো বললেন এবং আমাকে দেখিয়ে বললেন ঐ ছেলে। খুশিতে কাপসি কি গাবো? ঐ জনসভায় যাবার সময় একটা গান মনে মনে রচনা করেছিলাম। তাও ভুলে গেছি শেষের পংতি। এবার নাম ঘোষনা দিলেন। খাসের হাট থেকে আসা একজন মুজিব ভক্তের নিজের লেখা শেখ মুজিবের গান।



সে সময় আমার জ্ঞানইবা কত টুকুন আর বাংলা ভাষা সম্পর্কীয় কোন প্রাঞ্জল শব্দের সাথে পরিচয়ই ছিলনা। আমি মাদ্রাসার আহুমের ছাত্র কিন্তু মন মানসিকতা অন্য রকম। মনে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে মঞ্চের মাইক সে মানদাতা আমলের গোলাকার মাইক্রোফোন। সব চেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় ছিল যে ঐ দিন আলী আহমেদ স্যার এবং রাজ্জাক ভাই আমার কন্ঠ এবং গানের কথা মনে রেখেছিলেন অনেক দিন। কি গেয়েছিলাম, কি উলটা পালটা শব্দ চয়নে রচেছিলাম সে গান মনে পড়ছে না তবে অন্তরায় উল্লেখ করেছিলাম "আমরা সবাই মুজিব হবো, নির্যাতনের বদলা নেবো পশ্চিমা সব হায়েনাদের এমন উচিত শিক্ষা দেবো, জাগো রে বাংগালী জাগো আর ঘুমাইও না।। পরের কথা মঞ্চেই মনে পড়ছিলনা এখনতো একেবারেই মনে নাই। আলী আহমেদ স্যার ডাকলেন, তোমার বাড়ী কই? বাবার নাম গ্রামের নাম বল্লাম। ছাত্রনেতা মিলু জামাই বললেন আমাদের আত্মীয়। বাস আমি হিরো। রাজ্জাক ভাই নাকি মিলুকে বলে গিয়েছিলেন ঐ ছেলেটাকে জনসভাগূলোতে গান করাতে পারো সে ভালোই গায়। কাজে লাগাও।